বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

মৃত্যুদণ্ড নিয়ে আত্মগোপণে থেকে আরও দুই খুন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৭১ সময় দর্শন

এক দশক আগে রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলীতে গুলি করে হত্যা করা হয় বাসু মিয়াকে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তখন মো. আলকেস

(৫২) গ্রেপ্তার হন। চার মাস পর জামিনে বেরিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। নাম পাল্টে ছদ্মবেশে শ্রমিক, বালুর ব্যবসা, ট্রাকচালকসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন।আত্মগোপনে থাকা অবস্থাতে দুজনকে খুন করেন তিনি। তার হাতে খুন হওয়া আজহার ও সানু ছিলেন বাসু হত্যাকাণ্ডে তার সহযোগী।

 

প্রায় এক দশক পর আলকেসকে গ্রেপ্তার করে এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। শনিবার র‌্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার বরিশাল থেকে আলকেসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব বলেছে, একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ১৪ মে মিরপুরের শাহ আলীর চটবাড়ীর নবাবেরবাগ এলাকায় বাসুর ওপর আক্রমণ চালানো হয়। আলকেসের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্রও রড নিয়ে হামলা করেন। আলকেস আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করলে বাসুর মাথার বাঁ পাশে গুলি ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই চিনু মিয়া বাদী হয়ে আলকেসসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলকেস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। চার মাস পর জামিনে বেরিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এই মামলায় বিচার শেষে গত বছরের ১৫ নভেম্বর আলকেসসহ পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

র‌্যাব জানিয়েছে, আলকেস জামিনে বেরিয়ে মিরপুরে অবৈধ বালুর ব্যবসা শুরু করেন। এ নিয়ে বাসু হত্যা মামলার দুই আসামি আজহার ও সানুর সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে সাভার এলাকায় আজহার ও সানুকে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় আলকেস পলাতক আসামি। অবৈধভাবে বালু তোলা ও সংরক্ষণ করায় পরিবেশ অধিদপ্তর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ ছাড়া শাহ আলী থানার ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

গ্রেপ্তার এড়াতে আলকেস বারবার ঠিকানা, পেশা ও বেশভূষা বদলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন। প্রথম দিকে তিনি সাভারের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজের পাশাপাশি ডাকাতি করতেন। পরে বরিশাল গিয়ে ট্রাকচালকের সহকারী ছিলেন। পরে একসময় তিনি বাসের চালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বেপরোয়াভাবে বাস চালানোর সময় সিলেটে তার বাসের নিচে চাপা পড়ে একজন মারা যান। এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানীনগর থানায় পরিবহন আইনে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ওই ঘটনার পর তিনি পালিয়ে কুয়াকাটায় গিয়ে মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করেন। তখন মাছ ধরার পাশাপাশি সাগরে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করতেন তিনি। সর্বশেষ দেড় বছর ধরে তিনি দূরপাল্লার একটি পরিবহনে চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71